মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব আগামী বছর আরও দুটি মদের দোকান চালুর পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে একটি দোকান পরিচালনা করা হবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর অমুসলিম কর্মীদের জন্য, আর অন্যটি হবে জেদ্দা শহরের কূটনীতিকদের সুবিধার জন্য। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই উদ্যোগটি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের “ভিশন-২০৩০” রূপায়ণের অংশ হিসেবে ধরা হচ্ছে। পরিকল্পিত দোকানগুলো কেবল অমুসলিমদের জন্য সীমিত থাকবে এবং দেশটিতে মদ সরবরাহের নিয়মকানুনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।গত বছর রিয়াদে অমুসলিম কূটনীতিকদের জন্য দেশের প্রথম মদের দোকান চালু করা হয়। ৭৩ বছরের নিষেধাজ্ঞার পরে এটি সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে মদের দোকান চালুর প্রথম ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
রয়টার্সের সঙ্গে কথিত তিনটি সূত্রের একের বক্তব্য অনুযায়ী, দাহরান শহরের নতুন দোকানটি বিশেষভাবে আরামকোর অমুসলিম কর্মীদের জন্য খোলা হবে। আর জেদ্দায় চালু হওয়া দোকানটি প্রধানত কূটনীতিক ও দূতাবাস কর্মীদের সুবিধার জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই দুটি দোকান ২০২৬ সালের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় চালু করা ‘‘বুজ বাংকার’’ নামের দোকানটি চালুর পর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিয়মকানুন পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, সম্প্রতি রিয়াদের দোকানের গ্রাহক তালিকায় সৌদির প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি-ধারী অমুসলিমরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি বিশেষ উদ্যোক্তা, বড় বিনিয়োগকারী এবং বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করা হয়।
এর আগে দেশটিতে মদ সংগ্রহের একমাত্র উপায় ছিল কূটনৈতিক চ্যানেল, কালোবাজার অথবা ঘরে তৈরি মদ। তবে এখন সৌদি আরবের এই পদক্ষেপ উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি বিরল এবং নতুন ধরণের খোলামেলা নীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে অমুসলিমদের জন্য মদ সরবরাহের সুযোগ
বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূত্র: এএফপি
Mytv Online